বিজ্ঞানের আবিস্কারে যত মিরাক্কেল
বিজ্ঞানের আবিস্কারে যত মিরাক্কেল
বিজ্ঞানের অবদানে সবকিছুই সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে। বিজ্ঞানীর নিরলস কঠোর পরিশ্রমে প্রতিদিনই কিছু না কিছু আবিষ্কৃত হচ্ছে।জ্ঞন নানা শাখা-প্রশাখা বিভক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আর চলছে গবেষণা ও আবিষ্কার। জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়নবিজ্ঞান, গণিত শাস্ত্র, চিকিৎসা শাস্ত্র, ভূতত্ব, মানবতত্ব ও আরো অন্যান্য বিষয় এর ওপর সফল গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। আসলে প্রয়োজন বা জিজ্ঞাসা থেকেই যাবতীয় আবিষ্কারের উন্মেষ। আর এ জন্য জানা আর গবেষণার বিকল্প নেই। বিজ্ঞানের অনেক আবিষ্কারই অবিস্মরণী
আবার এই বিজ্ঞানই বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু পরীক্ষা হয়েছে, যেগুলো নিয়ে একটি শব্দই বলা যায়, অদ্ভুত। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে তেমনই বেশ কয়েকটি অদ্ভুত, ভয়ঙ্কর বৈজ্ঞানিক গবেষণা জেনে নিন।
* কুকুর মানুষের কতটা অনুগত, তা বুঝতে একটি প্রশিক্ষিত কুকুরকে নিয়ে পরীক্ষা করেন এক দল বিজ্ঞানী। সঠিক আজ্ঞা পালন না করলেই বিদ্যুতের শক দেওয়া হচ্ছিল কুকুরটিকে। প্রতি ভুলের জন্য একটু করে শকের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছিল। কুকুরটির অবস্থা দেখে বেশ কয়েক জন এই পরীক্ষায় আর অংশ না নিয়ে বেড়িয়ে যান।
* মৃত ব্যক্তির শরীরে বিদ্যুতের শক দিলে কী হয়, তা দেখার জন্য পরীক্ষা হয়েছে বহু বার। তবে ভয়ঙ্করতমটি সম্ভবত ঘটেছিল ১৮০৩ সালে। এক বিশাল প্রেক্ষাগৃহে একটি মৃতদেহের শরীরে ১২০ ভোল্টের বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়। শক দেওয়ার ফলে মৃতদেহ বিকৃত হয়ে স্টেজে সোজা হয়ে কাঁপতে থাকে। ভয়ে জ্ঞান হারান একাধিক দর্শক।
* পশুদের মাঝে কোনো মানবশিশু বড় হলে তার চরিত্রে পশুদের ছাপ পড়ে। কিন্তু উল্টোটাও কী সত্যি? এটা বোঝার জন্য একটি শিম্পাঞ্জির বাচ্চাকে তাদের সন্তানের সঙ্গে মানুষ করতে শুরু করেন এক বিজ্ঞানী। দু’জনকেই আর কারো সঙ্গে মিশতে দেওয়া হত না। ফলাফল হয় অদ্ভুত। ন’মাস পরে শিশুটি শিম্পাঞ্জির মতো আচরণ শুরু করে। শিম্পাঞ্জিটিকে এরপর তার নিজের পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হলে কিছুদিন পরে সে মারা যায়।
* রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে কী মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? এটা বোঝার জন্য একটি ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মাথায় চিপ লাগিয়ে পরীক্ষা করা হয়। আশানুরূপ ফল পেয়ে মানুষের ওপর শুরু হয় পরীক্ষা। ছয় এবং সাতের দশকে করা এই পরীক্ষাগুলোয় বহু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল।
* ১৯৭০ সালের মার্চে বিজ্ঞানীরা একটি বানরের মস্তিষ্ক কেটে অন্য একটি বানরের দেহে তা বসিয়ে দেন। মাত্র দেড় দিন বেঁচেছিল এই বানরটি। পরীক্ষার করতে গিয়ে একাধিক বানরের মৃত্যু হয়েছিল। ভয়ঙ্কর এই পরীক্ষার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল একাধিক সংগঠন।
কোন মন্তব্য নেই
Please validate the captcha.